নীল ছবির নায়ককে নিয়ে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী : বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে

2nd April 2021 10:15 am বর্ধমান
নীল ছবির নায়ককে নিয়ে ভোট প্রচারে বিজেপি প্রার্থী : বিতর্ক রাজনৈতিক মহলে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) :  দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কর্নেল দীপতাংশু চৌধুরীর হয়ে একাধিক রোড-শো, প্রচারে দেখা যায় নীল ছবির নায়ক জিৎ চক্রবর্তীকে ৷ ব্যস, তারপর থেকেই বিরোধীরা তো বটেই দলের অন্দরে প্রার্থী দীপতাংশুর বিরোধীরা রে রে করে উঠেছে । সবাই নাক ছিটকাচ্ছে । তাতে ভোটের দৌড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে দুর্গাপুর পূর্ব এলাকায় চরম অস্বস্তিতে বিজেপি মহল ।

বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে জিৎ চক্রবর্তীর রোড-শোর ছবি এবং জিৎ অভিনীত নীল ছবির ভিডিও ক্লিপিংস ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল সাইটে ৷ তারফলে দুর্গাপুরের পূর্ব এলাকায় মুখে মুখে ফিরছে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারক নীল ছবির নায়কের কথা ও কাহিনী । তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়টিকে সামনে রেখে ভোটের ময়দান গরম করে বাজিমাত করতে চাইছে । এমনিতেই বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দীপতাংশু চৌধুরীকে এলাকার বিজেপির কর্মী সমর্থকরা মেনে নিতে পারেনি । তাছাড়া দীপতাংশু চৌধুরী স্থানীয় নন, বাইরে থেকে এসে প্রার্থী হয়েছেন । তাই স্থানীয় মানুষ তাঁকে কম চেনেন । তার উপর এখন একজন নীল ছবির নায়ককে সঙ্গে নিয়ে রোড-শো…..অনেকটাই ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে । এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিজেপির ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক দীপক সিং গত ৩০/০৩/২১ তারিখে উক্ত ওই নীল ছবির নায়ক জিৎ চক্রবর্তীকে শোকজ নোটিশ দেন ।  এমন ঘটনার পর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং সিপিএম প্রকাশ্য বলছে, এই বিজেপি দলটিতে এমন সংস্কৃতি নতুন কিছু নয়। তাই ওরা নীল ছবির নায়ককে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে নেমেছে । দূর্গাপুর পুর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী প্রদীপ মজুমদার বলেন ” শুনছি ওদের এক প্রার্থীর ভাইপো নাকি ধর্ষণের অভিযুক্ত আবার আরেক প্রার্থী সাথে ঘুরছে নীল ছবির নায়ক। এদের ব্যাপারে যত কম বলা যায় ততই ভালো । মানুষ এদের উচিত বিচার করবেন । এদের আচরণ বাংলার সংস্কৃতির সাথে এক্কেবারেই খাপ খায় না।”

এমন ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্দ এবং হতাশ দুর্গাপুরে বিজেপি দলের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। তাদের বক্তব্য, এই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বর উচিত, দলের ভাবমূর্তি বজায় রাখতেই ওই নীল ছবির নায়ককে দলের সংসর্গ থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং তা মিডিয়ার কাছে বিবৃতি দেওয়া । তা না হলে, দুর্গাপুর পূর্ব আসনে বিজেপিকে বিপুল ভোটে হারতে হবে । সামগ্ৰিক ঘটনা সম্পর্কে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জী জানিয়েছেন , বিজেপি দলটাই দুশ্চরিত্র লোকজনদের নিয়ে । যারা নানা ধরনের অপকর্ম , কুকর্মে জড়িত তারাই এই দলে রয়েছে । কেউ যাতে বিজেপিকে একটিও ভোট না দেন তার আবেদন করেছেন তৃণমূল নেতা ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।